করোনা প্রদুর্ভাবের সূচনাতে দেশে এসে আটকে পড়া শিক্ষার্থী এবং কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়া ফেরাতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাং কিয়াং ওয়ারকে টেলিফোন করে এ বিষয়ে তাঁর একান্ত সহযোগিতা এবং হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার দুপুরে দুই মন্ত্রীর ফোন আলাপ হয়। সেই আলাপে বাংলাদেশে আটকে প্রবাসী কর্মী ও শিক্ষার্থীদের সিউলে ফিরে যেতে ভিসা প্রদান কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে কথা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মতে, আলাপকালে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অন্য ইস্যুতেও কথা বলেন। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশী কর্মী ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বিষয় বিস্তৃত আলোচনা হয় তাদের মধ্যে। দুই দেশের বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রীদ্বয় আগামী দিনে এটি আরও জোরদারের প্রয়াসে ঢাকা-সিউল একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ড. মোমেন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী ও শিক্ষার্থীদের সে দেশে ফিরে যেতে কোরিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহযোগিতা চান। দেশটির শ্রমবাজারের উপযুক্ত কর্মী তৈরিতে বাংলাদেশে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে সিউলের প্রতি অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
জবাবে কোরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত ঢাকার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। একই সঙ্গে তিনি ভিসা ইস্যুতে সহযোগিতারও আশ্বাস দেন। ড. মোমেন কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে কোরিয়ার কার্যকর ভূমিকার কথা স্মররণ করে মহামারি চিরতরে নির্মূলে বৃহত্তর সহযোগিতা জোরদারে সিউলের প্রতি আহবান জানান। এ সময় মন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষপের কথাও উল্লেখ করেন। ফোনালাপে মন্ত্রী মোমেন রোহিঙ্গা পরিস্থিতিও কোরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তাদের আদি নিবাস রাখাইনে দ্রুত নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে ঢাকা-সিউল একত্রে কাজ করার বিষয়েও নীতিগতভাবে সম্মত হন তারা।
Leave a Reply