খামেনিকে মুখ সামলাতে বললেন ট্রাম্প | বিশ্ব সংবাদ
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে মুখ সামলিয়ে কথা বলতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে খামেনির উচিত ‘গ্রেট এগেইন ইরান’ এ পরিণত করা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, মার্কিন সংবিধান এখন হুমকির মুখে। তিনি তার অভিশংসন ইস্যু সিনেটে মোকাবেলার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া শুরু করেছেন। এক জরিপে দেখা গেছে, ১০ জনে আট জন কৃষ্ণাঙ্গ ট্রাম্পকে বর্ণবাদী বলে মন্তব্য করেন। খবর ইউএসএ টুডে, সিএনএন ও ডয়চেভেলের।
মুখ সামলান : ট্রাম্প
শুক্রবার খামেনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘অসভ্য’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি ইউক্রেনের বিমান দুর্ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গান। একইসঙ্গে ড্রোন হামলা চালিয়ে শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা জানান। এরপরই টুইটার বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ইরানের তথাকথিত সুপ্রিম লিডার এখন আর সুপ্রিম নেই। তার দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে এবং তার জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তার উচিত মুখ সামলিয়ে কথা বলা। শুক্রবার সন্ধ্যায় আরেক টুইটার বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ইরানকে ধ্বংসের দিকে না নিয়ে নেতাদের উচিত আমেরিকার মতো ‘মেইক ইরান গ্রেট এগেইন’ এ পরিণত করা। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ট্রাম্প স্লোগান দিয়েছিলেন, মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’।
‘মার্কিন সংবিধান হুমকিতে’
ভার্জিনিয়ার সিনেটে বৃহস্পতিবার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। এই বিলে অস্ত্র বিক্রির আগে তার পেছনের ইতিহাস যাচাই করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর জবাবে টুইটার বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এর মাধ্যমে মানুষের অস্ত্র রাখার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ‘গ্রেট কমনওয়েলথ অব ভার্জিনিয়া’ হুমকির মুখে পড়ছে। এর মাধ্যমে মার্কিন সংবিধানও হুমকির মুখে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওয়াশিংটন পোস্ট-ইপসোসের জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনের আট জন আমেরিকান মনে করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বর্ণবাদী। তিনি আমেরিকাকে বর্ণবাদের দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আর ৯ জন আমেরিকানই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাজে সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন। ৫৮ শতাংশ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আফ্রিকান আমেরিকান জাতির জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
আইনজীবী নিয়োগ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অভিশংসন ইস্যুতে সিনেটে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দিতে শুরু করেছেন। তার দলে খ্যাতিমান আইনজীবী অ্যালান ডেরশুইতজ এবং সাবেক স্বতন্ত্র কাউন্সেল কেন স্টার নিয়োগ পেয়েছেন।
ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইরানকে
ইউক্রেনের বিমান ধ্বংসে মৃত প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইরানকে। যৌথ বিবৃতি পেশ করে দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। ইরান ছাড়াও পাঁচটি দেশের যাত্রী ছিলেন ইউক্রেনের ঐ বিধ্বস্ত বিমানে। বৃহস্পতিবার লন্ডনে কানাডার দূতাবাসে মিলিত হয়েছিলেন কানাডা, ইউক্রেন, সুইডেন, আফগানিস্তান এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা। যৌথ বিবৃতিতে তারা জানান, মৃত যাত্রীদের পরিবার সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তেহরানকে। একইসঙ্গে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের সুযোগ করে দিতে হবে যে তদন্তে অংশ নেবেন এই পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিরা।
Leave a Reply