জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই দেশে আসছে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন। সরকার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কেনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পাবে জানুয়ারি মাসে। ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য চুক্তির সময় সেরামের কাছ থেকে ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছিল। এখন সেই সময় এক মাস এগিয়ে এলো।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী ৫০ ভাগ কার্যকর যে কোন ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেখানে দুটি পূর্ণাঙ্গ ডোজের ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৬২ ভাগ। আর শুরুতে আধা ডোজ এবং পরে এক ডোজ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯০ ভাগ পর্যন্ত দেখা গেছে।
অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয় এই ভ্যাকসিনটি আবিষ্কার করেছে। বিশ^ব্যাপী এই ভ্যাকসিন বাজারজাত করার দায়িত্বে রয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি এ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদনের চুক্তি করেছে। বাংলাদেশ সেখান থেকে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে। প্রতিজনকে দুই ডোজ হারে দেড় কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হবে। সরকার গুরুত্ব বিবেচনায় ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য একটি এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করছে। বলা হচ্ছে ভ্যাকসিনের অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষে সরবরাহ শুরু হলে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। সেই হিসাবে জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে এই ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান দেশে আসবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, আগামী মাসের প্রথম দিকেই প্রথম কোয়ার্টারেই আমরা টিকা পেয়ে যাব। অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করেছি। তিন কোটি ডোজ টিকা সরকার নিয়ে আসছে সরাসরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টিকার এই ব্যবস্থা করতে পেরেছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডব্লিউএইচও আমাদের টিকা দেবে আমাদের জনসংখ্যার বিশ শতাংশ হারে। সেটা আসতে হয়ত কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আমরা টিকা পাব। অনেক দেশ আছে, যারা এখনও টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি’।
Leave a Reply