নগরের বায়েজিদ থানাধীন বাংলাবাজার এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর কাছ থেকে বিতরণের জন্য ত্রাণ নিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন কাউন্সিলরের অনুসারী এক নারী। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বস্তিবাসীর রোষানলে পড়ে মারধরের শিকার হয়েছেন ওই নারী। পরে বস্তিবাসী ওই নারীর বাড়ি থেকে এসব ত্রাণ ছিনিয়ে নেয়।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ত্রাণ নিয়ে চলে যাওয়া বস্তিবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন কাউন্সিলরের অনুসারী ওই নারী।
মারধরের শিকার হয় জান্নাত বেগম নামের এক নারী। তিনি স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুসারী। বর্তমানে তিনি আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু এসব ত্রাণ বিতরণের জন্য জান্নাত বেগম নামে ওই অনুসারীকে দিয়েছিলেন। জান্নাত বেগম বস্তিতে বসবাস করা ২০০ লোকের তালিকা কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুকে দেখিয়ে এসব ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের পরিচিত ১০-১৫ জনকে ত্রাণ বিতরণ করে বাকিগুলো নিজের বাসায় রেখে দেন জান্নাত বেগম।
বাংলাবাজার গুলশান হাউজিং সংলগ্ন বস্তির বাসিন্দারা খবর পেয়ে একত্রিত হয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় জান্নাত বেগমের বাসায় ঢুকে এসব ত্রাণ দেখতে পায়। এ সময় জান্নাত বেগমের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বস্তিবাসী তাকে মারধর করে। পরে বাসার ভেতর ঢুকে ত্রাণের প্যাকেট নিয়ে চলে যায় লোকজন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বায়েজিদ থানা পুলিশ। বায়েজিদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ত্রাণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাংলাবাজার এলাকায় জান্নাত বেগম নামে একে নারী মারধরের শিকার হয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জান্নাত বেগম তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কাউন্সিলরের কাছ থেকে ত্রাণ নিয়ে এসেছিলেন। এসব ত্রাণ তার পরিচিত ১০-১৫ জনকে বিলি করেন। বাকিগুলো তারা বাসায় রেখে দেন। এলাকার দোকানে কম দামে এসব ত্রাণের প্যাকেট বিক্রি করেন। এর আগেও কয়েকটি সংগঠন থেকে বস্তিবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে এসে বিক্রি করে দিয়েছিলেন জান্নাত বেগম।
এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার রাতে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এসএমএস পাঠিয়েও তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply