গাজীপুরে পিতা ও সৎভাইয়ের ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী এক কিশোরী (১৯) ৭মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বুধবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিশোরীর বাবা ও স্কুল ছাত্র ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- সিলেটের জৈন্তাপুর থানার গুয়াবাড়ি এলাকার মৃত আদালত খানের ছেলে জুবায়ের খান (৪০) ও জুবায়েরের ছেলে নাসির উদ্দিন (২০)।
জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন জুবায়ের। বিয়ের পর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ির হরিণাচালা এলাকায় এসে ভাড়া বাসায় থেকে এলাকায় রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
তার দ্বিতীয় সংসারের সন্তান নাসির উদ্দিন স্থানীয় একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। গত বছর জুবায়ের তার প্রথম সংসারের কিশোরী মেয়েকে (১৯) গাজীপুরে এনে স্থানীয় অপর একটি স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি করেন। তারা একই ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
গত ১৫ জুন রাতে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে জুবায়ের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে জুবায়ের একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে।
এদিকে সৎভাই নাসিরও ওই কিশোরীকে বিভিন্ন সময়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। বাবা ও সৎভাইয়ের ধর্ষণের শিকার কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বর্তমানে কিশোরীটি ৭ মাসের অন্তসত্ত্বা। বাবা-ভাইয়ের ধর্ষণের শিকার কিশোরী এ বিষয়টি তার মাকে জানান।
এ ব্যাপারে কিশোরীটি বাদী হয়ে বুধবার তার বাবা জুবায়ের ও সভাই নাসিরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার অভিযুক্ত ধর্ষক জুবায়ের ও তার ছেলে নাসিরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply