বিদেশ থেকে আসার সময় যেসব জিনিস আনতে পারবেন
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় একটি বিষয় নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন, সেটি হলো আইনানুগভাবে কী কী জিনিসপত্র তারা আনতে পারবেন।
অনেকসময়ই দেখা যায় পরিবার বা বন্ধুদের জন্য শখ করে কিনে আনা বা নিজের প্রয়োজনীয় কোনো একটি পণ্য আইনি অনুমোদন না থাকায় আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আবার যথাযথ নিয়ম মেনে শুল্ক দিয়ে পণ্যটি ছাড়ানোর উদ্দেশ্য থাকলেও পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অনেকসময় তাও সম্ভব হয় না।
বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শুল্ক না দিয়ে কোন ধরণের জিনিস কী পরিমাণ আনা যায় এবং শুল্ক প্রদান করে কোন ধরণের জিনিসপত্র আনা যায় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো।
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের একটি ফর্ম পূরণ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে, যেই ফর্মে ঘোষণা দিতে হবে তারা কোন জিনিস কী পরিমাণে বহন করছেন।
তবে প্রতিবছরই বাজেটের সময় এই তালিকা পরিবর্তন হয়। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী যেসব পণ্য দেশে আনা যায়, তা নিম্নে তালিকাভুক্ত করা হলো।
কোনো শুল্ক না দিয়ে আনা যাবে যেসব জিনিস:
গৃহস্থালীর ব্যবহারের পণ্য
ইলেকট্রনিক্স পণ্য
কিছু পণ্য ব্যক্তিগত ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার হলেও সেগুলো আনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হবে। সেগুলো হলো:
এছাড়া ৩০ ইঞ্চি থেকে ৬৬ ইঞ্চি বা তার চেয়ে বড় আকৃতির প্লাজমা, এলইডি, এলসিডি টেলিভিশনের ক্ষেত্রে ১০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত শুল্ক দিতে হবে।
এছাড়া বিদেশী পাসপোর্ট রয়েছে, এমন ব্যক্তি সর্বোচ্চ এক লিটার পরিমাণ মদজাতীয় পানীয় আনতে পারবেন।
ঢাকা কাস্টমসের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশ থেকে অনেকেই একাধিক মোবাইল ফোন আনার চেষ্টা করেছেন। এর ফলে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য না রেখে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য দুইয়ের বেশি মোবাইল ফোন আনলেও কখনো কখনো শুল্ক ছাড়াই ছাড় দেয়া হয় ব্যক্তিকে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাধারণত কর্মকর্তারা দৈবচয়নের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ যাত্রীর লাগেজ পরীক্ষা করে থাকেন।
তবে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থার বা গোয়েন্দা সংস্থার কোনো পূর্ব সতর্কতা থাকলে নিরাপত্তার খাতিরে সবাইকে পরীক্ষা করে থাকেন কর্মকর্তারা।
Leave a Reply