ব্রিটেনে লকডাউন:ডিসটেন্সিং মানছেন না লন্ডনের বাঙ্গালীরা বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের কারণে যখন বিভিন্ন দেশের মানুষ আতংকিত,ঘরে বসে বিষন্ন সময় পার করছেন,ঠিক তখন আবারো নতুন করে লকডাউনের সময় বাড়ানোর ঘোষনা আসে ব্রিটেনে।নতুন করে আরো তিন সপ্তাহ সময় বাড়ানো সাথে সাথে লন্ডনের বাঙ্গালী পাড়ায় ভেড়েছে মানুষের ভীড়।গত রবিবার ও সোমবার লন্ডন শহরের টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের অধিনে থাকা বাঙ্গালী পাড়া হিসাবে খ্যাত হোয়াইচ্যাপল ও শেডওয়েল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।এখানে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের মাঝে ডিসটেন্সিং(সামাজিক)দুরত্ব মানার কোন বালাই নেই।একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাড়ানোর পাশপাশি মানছেন না সরকারের আইন।আবার এক সাথে কয়েকজন জড়ো হয়ে বসে গল্প করতে দেখা গেছে অনেককে।এমন পরিবেশ দেখে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এব্যাপারের কয়েকজনের সাথে জনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের,প্রশ্নছিলো লকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকারের আইন না মেনে বসে গল্প করছেন কেন? নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা বলেন,ঘরে বসে থাকতে থাকতে বোরিং লাগছেন।নতুন করে আবার লকডাউনের সময় বাড়ানো হয়েছে।আর ঘরে বসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।সরকার ডিসটেন্সিং মেনে পার্কে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে,তাহলে এখানে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।বারিক(ছন্দ নাম)নামের আরেকজন বলেন,মরন আসলে ঘরে থেকেও বাঁচতে পারব না।
ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে নানা প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।তারপরও মানুষ বিশেষ করে বাংলাদেশীসহ এশিয়ানরা সামাজিক দূরত্ব মানছেন না।সামাজিক দুরত্ব (ডিসটেন্সিং)বা না মানায় এ পযন্ত প্রচুর মানুষকে বিভিন্ন অংকের জরিমানা করার পর এর উন্নতি না হওয়ায় হ্যামলেট কাউন্সিল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।কাউন্সিল বাসিন্দাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করে বলেছে,যথটা সম্ভব ঘর থেকে বের না হতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে।সরকারের নিয়ম গুলো মেনে চলছে জীবন বাঁচবে।সরকারে নির্দেশ অনুযায়ী শুধু মাত্র জরুরী খাবার ও মেডিসিন কেনার জন্য বাহিরে যেতে পারবেন।।
Leave a Reply