বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির তালিকায় পিছিয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বিশ্ব অর্থনীতির দুই পরাশক্তির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ প্রতিযোগিতামূলক বাজার থেকে পিছিয়ে দিয়েছে তাদের। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আইএমডি ওয়ার্ল্ড কম্পিটিটিভনেস র্যাঙ্কিং ২০২০। এতে দেখা গেছে, উন্নত প্রযুক্তিগত অবকাঠামো, দক্ষ কর্মীর সহজপ্রাপ্যতা, অনুকূল অভিবাসন আইন এবং ব্যবসা শুরু করার দক্ষতার কারণে প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির তালিকায় শীর্ষস্থানে বহাল রয়েছে সিঙ্গাপুর। গত বছর হংকং ও যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে এই স্থান নেয় তারা।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আইএমডি বিজনেস স্কুলের বার্ষিক এই র্যাঙ্কিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবার তৃতীয় থেকে নেমে দশম স্থানে চলে গেছে। অন্যদিকে চীনের র্যাঙ্কিং ১৪তম থেকে নেমে ২০তম স্থানে চলে গেছে। বড় মহারথীদের পেছনে ফেলে র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে ডেনমার্ক এবং সুইজারল্যান্ডের মতো ক্ষুদ্রতর অর্থনীতি। চার নম্বরে নেদারল্যান্ডস। তালিকায় পাঁচ নম্বরে হংকং।
২০১৮ সাল থেকে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। একে অপরের ওপর আরোপ করতে থাকে শুল্ক, যা তাদের এই তালিকায় পেছনে সরিয়ে দিয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাণিজ্যযুদ্ধ ব্যবসায়ের জন্য অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, উভয় দেশের প্রতিযোগিতার ওপর নির্ভরশীলতা এর একটি কারণ।
আইএমডি ওয়ার্ল্ড কম্পিটিটিভনেস সেন্টারের পরিচালক আরটুরো ব্রিস বলেন, বর্তমান সংকটে ক্ষুদ্র অর্থনীতির সুবিধা হলো মাহামারিবিরোধী লড়াইয়ে তাদের দক্ষতা এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা।
তালিকায় ভারতের অবস্থান ৪৩-এ অপরিবর্তিত আছে। জাপানের অবস্থান ৩০ থেকে ৩৪-এ নেমেছে এবং যুক্তরাজ্যের অবস্থান ২৩ থেকে বেড়ে ১৯-এ উঠে এসেছে। মূলত, ব্রেক্সিটের কারণে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বেড়েছে যুক্তরাজ্যের। দারুণ কর্মক্ষমতা দেখিয়ে সাইপ্রাস। নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছে তারা। ব্যাংকিংয়ে ১১ ধাপ উঠে এসে ৪২–এ জায়গা করে নিয়েছে তারা।
১৯৮৯ সাল থেকে এই তালিকা করে আইএমডি। ২৩৫টি নির্দেশক অনুসারে ৬৩টি অর্থনীতির বিশ্লেষণ করা হয়েছে। নির্দেশকগুলোর মধ্যে রয়েছে বেকারত্ব, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে সরকারি ব্যয়। আবার সামাজিক সংগতি, বিশ্বায়ন ও দুর্নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসা কর্মকর্তাদের মধ্যে জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। অর্থনীতিকে চারটি ভাগে ভাগ করে তালিকা করা হয়েছে। এগুলো হলো অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স, অবকাঠামো, সরকারের দক্ষতা ও ব্যবসায়িক সক্ষমতা।
Leave a Reply