সোনাগাজীতে মামার নেতৃত্বে ভাগনিকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার-২ ফেনীর সোনাগাজীতে মামার নেতৃত্বে গৃহবধু ভাগনিকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামাসহ দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার চরচান্দিায়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দিয়া গ্রাম থেকে মামা মো. হারুন (৩৮) ও তার সহযোগী মো. মাসুমকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. হারুন দক্ষিণ চর চান্দিয়া গ্রামের হারুন ড্রাইভার বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও মাসুম একই এলাকার কোরবান আলীর ছেলে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে গৃহবধূ (১৯) নিজে বাদী হয়ে মামাসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি জানান, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হলে স্বামী তাকে তার নানা বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় রেখে যান। বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে গৃহবধুর মামা (মায়ের সৎ ভাই) হারুন বিরোধ মীমাংসা করে দিতে ভাগ্নিকে নিয়ে নানা বাড়ি থেকে কোম্পানীগঞ্জের (গৃহবধুর মামা হারুন ও তার শ্বশুর বাড়ি কোম্পানীগঞ্জের একই এলাকায়) উদ্দেশে রওয়ানা দেন। পরে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় হারুন তার শ্বশুর বাড়িতে ওই ভাগ্নিকে রেখে দেন। সেখানে দুই দিন থাকা অবস্থায় গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় মাসুম ও হৃদয় নামে দুজন লোক হারুণের শ্বশুর বাড়িতে যান।
ওই দিন রাতে হারুন তার ভাগ্নিকে স্বামীর বাড়িতে দিয়ে আসবে বলে তিনজন মিলে অটোরিকশায় উঠে। তাদের অটোরিক্সা কিছু দূর যাওয়ার পর মামাসহ তিন জন ওড়না দিয়ে ওই ভাগ্নির হাত-পা, মুখ ও চোখ বেঁধে দক্ষিণ চর চান্দিয়া এলাকার একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভাগ্নি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা আবার তাকে অটোরিক্সা করে হারুনের শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে তার জ্ঞান ফিরে আসলে ঘটনাটি কাউকে বললে তাকে ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেন মামা ও তার সহযোগীরা। পরদিন সকালে গৃহবধূর স্বামী স্থানীয়দের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে তার স্ত্রীকে মামার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই গৃহবধুর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার অপর আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
Leave a Reply