কোপা আমেরিকার সেমি ফাইনালে কানাডাকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে জিতে ফাইনালের টিকেট কেটেছে স্কালোনির শিষ্যরা। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন আলভারেজ ও মেসি।
সেমি ফাইনালে আর্জেন্টিনার একাদশে একাধিক পরিবর্তনের আভাস দিয়েছিলেন কোচ স্কালোনি।
শঙ্কা থাকলেও কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন মেসি। একাদশে মেসির সঙ্গে ছিলেন আনহেল দি মারিয়া এবং হুলিয়ান আলভারেজও।
ম্যাচ শুরুর ১০ থেকে ১৫ মিনিট বেশ ভালোই খেলেছে কানাডা। ৩ মিনিট ও ৮ মিনিটে দুটি সুযোগ নষ্ট করেন শ্যাফেলবার্গ।
তবে ম্যাচে আর্জেন্টিনা প্রথম সুযোগ তৈরি করে ১২ মিনিটের মাথায়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসির বা পায়ের জোড়ালো শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গোল পেতে দেরি হয়নি আর্জেন্টিনার। ২২ মিনিটে রদ্রিগো ডি পলের পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সিটি তারকা হুলিয়ান আলভারেজ।
তার দেওয়া গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে আরো সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ৩৪ মিনিটে ডি মারিয়া শট গোলরক্ষকের সামান্য উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৪৪ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসিও। তবে শট ছিল পোস্টের বাইরে।
১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর কোপায় নিজের প্রথম গোলটি তুলে নিতে বেশি দেরি করেননি মেসি। ৫১ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজ বক্সের জটলার মধ্যে শট নিলে মেসির পা ছুঁইয়ে বল চলে যায় জালে। কানাডা অফসাইডের অভিযোগ তুললেও কানাডার রক্ষণের ভুলে সেটি হয়নি। কানাডার একজন খেলোয়াড় ছিলেন অনেক নিচে। ভিডিও রিপ্লে দেখে গোল বহাল রাখেন রেফারি। এ নিয়ে ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি আলাদা টুর্নামেন্টে গোল করলেন মেসি।
দুই গোল পিছিয়ে পড়ার পর ৬৮ মিনিটে আরও বড় ধাক্কা খায় কানাডা। পায়ের চোটে মাঠ ছাড়েন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা আলফন্সো ডেভিস। অবশ্য শেষদিকে গোল করার দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিল কানাডা। ৮৯ মিনিটে বদলি নামা তানি ওলুয়াসারির বক্সের মাথা থেকে নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে পা দিয়ে ঠেকান আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।