ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চিত্র
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার শাসনের পতনের ছয় মাস পর নতুন করে সামনে আনা হয়েছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি। ছয় মাস আগেও এমন দাবি কোনো কোনো মহলের বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন ওই দাবি নিয়ে রাজনীতিতে চলছে নানা আলোচনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন মাঠে নেমেছে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে।
কিছু দিন ধরে এ দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হতে দেখা গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধের দাবির বিরোধিতা করে আসছে।
বিভিন্ন সময় বিএনপির এমন অবস্থানের সমালোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকারও নিষিদ্ধের চেয়ে বরং দলটির নেতা-কর্মীদের বিচার করতে আগ্রহী ছিল। বিভিন্ন সময় উপদেষ্টাদের বক্তব্যে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
এখন সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ দলটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে কোন প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরব হওয়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়া- এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে নতুন করে নিষিদ্ধের দাবি সামনে আনা হয়েছে। এমন যুক্তি দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো থেকে।
কিন্তু আসলে কেন এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি এ দাবিতে সোচ্চার হয়েছে?
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে বিএনপির অবস্থানই বা কী-এসব প্রশ্ন আলোচনায় আসছে।
বিএনপি নেতারা অবশ্য বলছেন, দলটিকে নিষিদ্ধ করা না করার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।
যদিও বিএনপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা জাতীয় নাগরিক কমিটি জুলাইয়ে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যার বিচার দাবি কছে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে অন্যদের মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হলে, তখন সরকারের জন্য তা বাস্তবায়ন সহজ হবে।