পবিত্র রমজান মাসে অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে আশার আলো ফাউন্ডেশন ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। সমাজকল্যাণমূলক এই উদ্যোগটি সংস্থাটির প্রতি বছরের চলমান মানবসেবা কার্যক্রমের একটি অংশ।
গত ৯ই মার্চ, রবিবার (অষ্টম রমজান) আশার আলো ফাউন্ডেশন উজিরপুর ও বানারিপাড়া এলাকার অসহায় ও দুস্থ পরিবারগুলোর মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি সমাজকল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং হতদরিদ্র পরিবারগুলোর সাহায্যার্থে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। রমজান মাসে ইফতার সামগ্রী বিতরণ তাদের একটি উল্লেখযোগ্য বার্ষিক আয়োজন, যা এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ নিয়াজ মাহমুদ বলেন, “আমরা উজিরপুর ও বানারিপাড়া এলাকার হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের লক্ষ্য তাদের সুখে-দুঃখে সর্বদা পাশে থাকা এবং তাদের মুখে হাসি ফোটানো।”
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম মুঈন বলেন, “এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ শুধু একটি সাময়িক সাহায্য নয়, বরং এটি আমাদের পক্ষ থেকে মানুষের জন্য একটি উপহার। আমরা চাই আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ তাদের জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি বয়ে আনুক।
এই ইফতার বিতরণ কর্মসূচি সফল করতে সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মৃধা মোহাম্মদ আলামিন, ইঞ্জিনিয়ার জালিস মাহমুদ, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ খাইরুল ইসলাম এবং মোঃ আজিজুল হক,নাদিম মৃধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ছাড়াও, এই কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন হাফেজ মুয়িন, মোঃ সবুজ মৃধা, নাজমুস সাকিব সহ অনেকেই।
স্বেচ্ছাসেবকদের নিরলস প্রচেষ্টা এই কার্যক্রমকে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, মোঃ নাঈম মৃধ, মোঃ জাহিদূল ইসলাম জিসান, মোঃ হাফেজ মুয়িন, মোঃ মিরাজ হোসেন,ইমরান হোসেন, মোঃ সবুজ মৃধা, নাজমুস সাকিব, মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ মাসুম হোসেন, মোঃ সিফাত, মোঃ সাব্বির হোসেন এবং মোঃ মহিউদ্দিন সহ স্থানী লোকজন ।
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোঃ রাশেদুল হাসান মহাসিন তার বক্তব্যে বলেন, “আশার আলো ফাউন্ডেশন সামাজিক উন্নয়ন ও মানবসেবায় ইতিমধ্যেই সুনাম অর্জন করেছে। আমরা আশাবাদী যে ভবিষ্যতেও তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং আরও ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হবে।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক মোঃ রাজ্জাক হোসেন, সমাজ সেবক হাজী শামসুল হক মৃধা, মোঃ হারুন মৃধা এবং মোঃ বাবুল মৃধা।
স্থানীয়রা আশার আলো ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে এবং তাদের কাজকে সামাজিক উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে অভিহিত করে। এই মানবিক কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে সকলেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।